কবিতাঃ অতনু টিকাইৎ




সঞ্জীবনী
এভাবে চললে দেখবো একদিন-
বড়সড় একটা অসুখ বাঁধিয়ে ফেলেছো
ডাক্তার, বদ্যি কেউ সারতে পারছে না


বাড়ির সকলের, কপালে চিন্তার ভাঁজ
সারা বিশ্ব তোলপাড় করে সকলে যখন
দুহাত ভর্তি টাকায় কিনতে চাইছে
                                     তোমার সুস্থতা,
গোপনে শুধু তুমি আর আমি জানব
              সঞ্জীবনী কোথায় পাওয়া যায়।

গাছ
 গাছ হয়ে বেঁচে থাকা সহজ নয়
গাছ হয়ে ভালোবাসা, সহজ নাকি!

 ভিতরে সপ্তাশ্ব ছোটাবে,
পুড়ে মরবে অথচ দৃষ্টিতে তার
                 যেন বটবৃক্ষ ছায়া।

 সব প্রেমিকারা এমন মানুষ চায়
সব প্রেমিকেরা এমন মানুষ চায়
  
সব প্রেমিকারা চায়, তার প্রেমিকটি
দূরে দাঁড়িয়ে, না ছুঁয়ে, শুধু তাকিয়ে
সমস্ত তোলপাড় করার ক্ষমতা রাখুক

 সব প্রেমিকেরা চায়, তার প্রেমিকাটি
দূরে দাঁড়িয়ে, না ছুঁয়ে, শুধু তাকিয়ে
সমস্ত তোলপাড় করার ক্ষমতা রাখুক

বছর কয়েক পর
ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নেমে এলো
জানলা বন্ধ করতে যাচ্ছো, তুমি
দেখলে একটা বাবুইপাখি-বাসা
ভিজছে এবং দুলছে, ঝোড়ো হাওয়া।
  
কিংবা ধরো তখন শীত করছে
ঘুম ভেঙ্গেছে তোমার ভীষণ ভোর।
দরজা খুলতে গিয়ে চোখ পড়লো
একটা কুকুর বাচ্চা ভীষণ একা।

 কেনাকাটায় ভীষণ ব্যস্ত ধরো
এমন সময় শাড়ির আঁচল ধরে
টেনে বলছে - 'খাওয়া হয়নি মাই'
দিব্যি বুঝলে মিথ্যে বলছে বেটা
  
কিংবা ধরো অফিস যাচ্ছো তুমি
দেরী হচ্ছে। জ্যাম। গাড়ি-জানলায়
একটা মেয়ে গোলাপ হাতে একা।
কিনবে ভেবে দাঁড়িয়ে আছে ঠায়

 যদি তোমার চোখ, দেখে না সরে,

যদি তোমার মায়া জড়িয়ে আসছে,
খোদার-কসম বলতে পারি 'আমি'
আজো তোমার বুকপকেটে রাখা।


No comments:

Post a Comment

যোগাযোগ ও লেখা পাঠানোর ঠিকানাঃ spartakasmagazine@gmail.com