মৈথুনের
পরে
মৈথুনের
ঠিক পরে ঘুম এসে তোমাকে জড়ায়
দীঘির অতল
থেকে ছায়া এসে
ঢেকে দেয়
দুচোখের মণি
অতল ঘুমের
দেশে যাবার আগে
আড়চোখে
দেখে নাও রাক্ষসের শ্রম
নতুন
সকালে উঠে তুমি ফের মহাশ্বেতা
সারাদিন
শব্দহীন পিঞ্জরের পাখি নিয়ে
তুমি তো
কেমন যেন দয়ালু দয়ালু
বৃষ্টি
শুরু হলে কী তীব্র ভেজার ইচ্ছে
দুহাতে
দাবিয়ে রেখে হেঁশেল পোড়াও
কয়লার
চাঁই ভেঙে ক্ষিদেময় চুলা
যখন ধরাও,
কে ধরে এই সদ্য রজস্বলা
সারাদিন এ
হাঁড়ি ও হাঁড়ি
রাত হলে
দেহলতা আর উরু ঘিরে
অনিচ্ছা
জড়িয়ে রাখো রাক্ষস লেহন
আমাদের
বান্ধবীরা
আমাদের
বান্ধবীরা নদী বলতে বোঝে
চুলের
কাঁটার মতো আঁকাবাঁকা কিছু
এবং নদীর
পেটে খুব ঢেউ থাকে
এ নিয়েও
তারা কথা বলে খুব
শুধু
চৌকাঠের কাছে এসে
ভীষণ
দেমাকী হয়ে
ছড়িয়ে দেয়
কমলালেবুর খোসা
আমরা বলতে
যাই—এ কোনো হাসপাতাল নয়
আমাদের
মায়াদর্পনের মতো অন্ধকারে রেখে
কালসাপের
ফণা নিয়ে গল্প করতে করতে
তারা চলে
যায় শৌখিন ম্যাজিকের দিকে
ঝুমুর
এমন
মায়াবী রাতে উচ্চাঙ্গ গাইতে বলোনা মনিষা
আমি তিন
হাত লাফ দিয়ে সরে গিয়ে
সারা গায়ে
গড়ে নেব নাচনির সোমত্ত আদল
আর্যভট্টের
শূন্যের ভেতরে নেমে দেখে আসবো
কেউ তো
কোথাও নেয়,শুধু এক একাকী গায়ক
গেয়ে চলে
তার গান নাচনিবিহীন
হয়তো
আমাকে দেখে দুই চোখে উদ্ভাসন হবে
আমিও
কৌশলে সাড়ে তিনপাক নৃত্য রেখে
উঠে যাব
উপরতলায়
যেখানে তখন
ক্লান্তরাগে রোদের ইজেলে
ক্যানভাসে
ছবি আঁকে এক ঝুমুরিয়া
ফুটিয়ে
ফুটিয়ে তোলে নাচনির আদুল শরীর সমস্ত শরীর ঘিরে তার
আধোলিন
উন্মোচনে ব্রহ্মতাপ মায়া
নাচের
বিভঙ্গমুদ্রা ছড়াতে ছড়াতে
আমি তো তখন এক জীবন্ত পুতুল
সুন্দর
ReplyDeleteদারুণ।
ReplyDelete