মানুষের উদ্দেশ্যে কিছু মেধাবী কম্পাঙ্ক
১
আমার বকলমে কেউ কবিতা লিখবে না , জানি
আমি চোখ মেললেই পান্না হবে না সবুজ
চুনি উঠবে না রাঙা হয়ে
আমার শ্রমের জন্য কেউ আমাকে মনে রাখবে না
লাল রঙ দেখলেই শিং বাগিয়ে তেড়ে যাবো
এই সামান্য মিথের মধ্যেই
আমি বেঁচে থাকবো মৃত্যুর পরেও
উপরোক্ত ভাষ্যের ভেতর যদি কেউ
হতাশার গন্ধ পায় সেটা তার মস্তিষ্কের সমস্যা
আমার হতাশা বলে কোনো অনুভূতি নেই
২
ভাত চাপালে , বড়বৌ
চাষি তো নেহাতই চাষি
কর্ষণ শিল্পী , ভাতের কাঙাল
তোমারই তো সব মালিকানা
আমি এসব বুঝি না ঠিক
গোয়ালঘরে বসে লেজের ঝাপটে মাছি তাড়াই
বিবর্ণ কাঠাড়ে ঘসি ফ্রয়েডিয় শিং
রান্নাবাড়ার কাজ শেষ হলে , অবসরে
ভাতের গন্ধ গায়ে মেখে , তুমি
জামবাটি ভর্তি মাড় নিয়ে এসো
দীর্ঘ অপেক্ষার
৩
তুমি আমার ঈশ্বর নও
আমার বিশ্বাস তিনি দেখতে ঠিক আমারই মতন
শ্বেতশুভ্র লোমশ দেহ থেকে ঠিকরে পড়ছে অলৌকিক দ্যুতি
কাঁধে পর্বত সমান দৃপ্ত কুঁজ কেঁপে উঠছে প্রতিটি পদক্ষেপে
সুদীর্ঘ লেজের প্রান্তে ঘনকৃষ্ণ চুলের চামর দুলছে
দুটি বাঁকানো সুরম্য শিংএ ফুটে উঠছে দৈব আভিজাত্য
আয়ত ক্ষুরে লেগে আছে সুদূর জলাশয়ের কাদামাটি
লেগে আছে তেপান্তেরর ঘাসপাতা
অপার মমতা ঝরে পড়ছে কালো উদাস দুই চোখে
আমি পরধীন হলেও আমার ঈশ্বর সম্পূর্ণ স্বাধীন
কারো বাঁশি শুনে বশংবদ দাঁড়াবেন না তাঁর গা ঘেঁষে
কিম্বা অন্য কারো ঈশ্বরকে পিঠে বয়ে বেড়াবেন না সারাদিন
দিনান্তের শুকনো খড়ের আঁটি নয় তাঁর আহার
চরে বেড়াবেন বনে বাদাড়ে , সুদীর্ঘ মাঠ থেকে মাঠে
তিনি একদিন আসবেন , আমি জানি
আমার গলকম্বলে শিংএর মৃদু খোঁচা দিয়ে
গা চেটে আদর করবেন , ভাবতেও শিহরণে শরীর কেঁপে ওঠে
No comments:
Post a Comment