যদি কেউ ফিরে না চায়
একশো বছরের এপার আর ওপারে কী আশ্চর্য
মিল! কী হিমশীতল সাদৃশ্য। সেদিনের পাঞ্জাব যেন পুনর্জন্ম নিয়েছে আজকের কাশ্মীরে। সেদিনও
দেশবাসী জানতে পারেনি কী চলছিল পাঞ্জাব রাজ্যের ভেতর। জানতে পারে নি, জালিয়ানওয়ালাবাগের নৃশংসতার প্রকৃত ব্যাপকতা। ক্ষত এবং ক্ষতির পরিমাণ ঠাওর করা অসম্ভব হয়ে উঠছেলি
দেশবাসীর। গণমাধ্যমের কন্ঠরোধ করা হয়েছিল আজকের কাশ্মীরের মতই। এক অবিশ্বাস্য ধরনের
দানবিক ঘোষণার মধ্য দিয়ে কাশ্মীরের মানুষকে, মাটিকে বোবা করে দেওয়া হয়েছে। তার আগে
মানুষের মধ্যে সন্ত্রাসবাদী হামলার মিথ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পর্যটক ও বাইরে থেকে যাওয়া অন্য
মানুষদের তড়িঘড়ি প্রায় জোর করে রাজ্য থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। ব্যক্তিগত নিরাপত্তা
ও সামাজিক শান্তির অজুহাত দেখিয়ে বন্দী করা হয়েছে সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের। ঠিক
এমন করেই একশো বছর আগে যুদ্ধক্লান্ত পাঞ্জাবের মানুষদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল কুখ্যাত
রাওলাট আইন যা প্রয়োগ করে যে কোনো মানুষকে যে কোনো সময় পুরে দেওয়া যেতো বিনা বিচারে
কারান্তরালে। ব্রিটিশ রাজের নিরাপত্তার অজুহাতে। রাওলাট আইনও ফিরে এসেছে আবার। তখন
ছিল ব্রিটিশ রাজের নিরাপত্তার অজুহাত। এখন জাতীয় নিরাপত্তার। এই মুহূর্তে শুধুমাত্র
মানুষের অধিকারের স্বপক্ষে কথা বলতে গিয়ে মিথ্যা মামলায় কারান্তরালে রয়েছেন একাধিক
সমাজকর্মী, বুদ্ধিজীবীরা। মানুষের কন্ঠস্বরকে আরো শক্ত করে টিপে ধরতে নতুন করে প্রণয়ন
করা হয়েছে আইন। কোনো একজন মানুষকে সরকারের
যদি মনে হয় জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বিপদস্বরূপ তবে তাকে বিনা বিচারে যখন তখন কারাগারে
ঠেলে দেওয়া যাবে। একশো বছরের ব্যবধানে থাকা দু'টি সময় কী আশ্চর্যভাবে মিলে গেছে। প্রথম
মহাযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ রাজ ভারতবাসীর কাছে যুদ্ধে সহায়তা চেয়েছিল। ভারতীয়রা উজাড় করে
বাড়িয়ে দিয়েছিল সহায়তার হাত, ধনে জনে সব দিক দিয়ে। ভারতবাসীর যা ক্ষমতা ছিল তার চেয়ে
বহুগুণ বেশি কর আদায় করেছে ব্রিটিশ শাসকেরা। দলে দলে ভারতীয় পুরুষেরা ব্রিটিশ সেনায়
যোগ দিয়েছে। পাঞ্জাবের মানুষ ছিল অগ্রভাগে। নিজের দেশ ছেড়ে সম্পূর্ণ এক অজানা বিদেশ
বিভুঁইয়ে সাদা চামড়ার শাসকদের জন্যে যুদ্ধ লড়েছে ভারতীয় সেনা। অকাতরে প্রাণ দিয়েছে।
যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পরিবার পরিজনের কাছে লেখা চিঠিতে এক ভারতীয় সেনা জওয়ান জানিয়েছে,
যুদ্ধক্ষেত্রে এধারে ওধারে ছড়িয়ে পড়ে আছে ভারতীয় সৈন্যের লাশ। কেউ শেষকৃত্য করার উদ্যোগও
নেয়নি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। মাঠে প্রান্তরে পড়ে পড়ে থেকে পচে গেছে কত সৈনিকের লাশ। তবু
আশা ছিল যুদ্ধ শেষে স্বরাজ আসবে। অন্তত ব্রিটিশ রাজ সেই আশ্বাসই দিয়েছিল। মহাত্মা গান্ধীও
এই আশ্বাসে বিশ্বাস করে ভারতীয় জনগনকে ব্রিটিশ সেনায় যোগ দিতে আহ্বান জানিয়েছিলেন।
যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর সেই প্রতিশ্রুতি ভুলে গেল ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসকেরা।উল্টে যুদ্ধ
পরিস্থিতির অজুহাতে যে দমন পীড়ন আইন চালু করেছিল দেশের শত্রু মোকাবিলার নামে, সেই আইন
অব্যাহত রাখা হল। এ দিকে যুদ্ধ শেষে চাকরি হারিয়ে পাঞ্জাবে ফিরছে - যুবকেরা।
ব্রিটিশ রাজের অব্যাহত মাত্রাতিরিক্ত করের চাপে গ্রাম ভারতে তখন হাহাকার। ব্রিটিশ শাসকেরা
ভাবল, ভারতীয়দের স্বরাজের স্পৃহাকে দমনপীড়নের মাধ্যমে স্তব্ধ করে দিতে পারবে। আর সঙ্গে
যদি ছোটখাটো শাসনতান্ত্রিক সংস্কারের মধ্য দিয়ে অভিজাত ভারতীয়দের খানিকটা খুশি করা
যায়। এই ভাবনা থেকেই একদিকে রাওলাট আইন এবং মন্টেগু-চেমসফোর্ড সংস্কার প্রায় সমান্তরাল
সময়ে রচিত হয়েছে। ব্রিটিশ রাজের এই আশ্বাসভঙ্গ ও দমনপীড়নের নীতির বিরুদ্ধে দেশজুড়েই
আন্দোলনের ডাক দিলেন গান্ধীজি। রাওলাট আইন প্রত্যাহারের দাবিতে ৩০ মার্চ ১৯১৯ সারা
দেশে হরতালের ডাক দিলেন মহাত্মা গান্ধী। দিল্লিতে সত্যাগ্রহীদের উপর নির্বিচারে গুলি
চালালো ব্রিটিশ সেনা। বহু মানুষ প্রাণ দিলেন। মহাত্মা চেয়েছিলেন সত্যাগ্রহের মাধ্যমে
পরোক্ষ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে। ৫ এপ্রিল কবিগুরুর কাছে চিঠি লিখে অনুরোধ করলেন দেশব্যাপী
সত্যাগ্রহের কর্মসূচির উদ্দেশ্যে একটি লিখিত বার্তা দেওয়ার জন্যে। রবীন্দ্রনাথের কাছে
স্বরাজ বা স্বাধীনতা মানে শুধুমাত্র রাজনৈতিক স্বাধীনতা বা স্বরাজের প্রশ্ন ছিল না।
স্বাধীনতাকে তিনি দেখেছেন ব্যক্তি ও সমাজের সামগ্রিক স্বাধীনতার প্রেক্ষিত থেকে। ইউরোপীয় রাষ্ট্রকেন্দ্রিক স্বাধীনতার ধারণা থেকে মুক্ত হয়ে তিনি স্বাধীনতাকে দেখতে চেয়েছেন
ভারতের রাষ্ট্রনিরপেক্ষ সমাজকেন্দ্রিক ব্যক্তির স্বাধীনতার ধারণা থেকে। তাঁর কাছে স্বাধীনতা
তখনই প্রাপ্ত হওয়া উচিত যখন স্বাধীনতার ধারণা প্রতিটি ব্যক্তিমানুষের ধারণার জগতে জয়লাভ
করতে সমর্থ হয়েছে। ভয় থেকে মুক্তি, হীনতা থেকে মুক্তি, পরাজয়ের গ্লানি থেকে মুক্তি
ও ত্যাগ ও মৃত্যুর মধ্যে জীবনের অমোঘ প্রাণের অনুভবের মধ্যে রাজনৈতিক স্বাধীনতাকে বোধে
জন্ম দেওয়া-- এমনটাই ছিল কবিগুরুর স্বাধীনতার ধারণা। ১২ এপ্রিল, ১৯১৯ রবীন্দ্রনাথ এমনই
একটি অনুভবের কথা লিখে মহাত্মাকে উত্তর লিখলেন। তিনি লিখলেন, শাসকেরা তাদের নখদন্ত উন্মোচিত
করেছে। এমন সময়ে মহাত্মা গান্ধীই পারেন দেশের জনসাধারণকে স্বাধীনতার প্রকৃত সত্য অনুভবের
মধ্য দিয়ে যথার্থ প্রতিরোধে নেতৃত্ব দিতে। তবে শুধুমাত্র যান্ত্রিকভাবে সত্যাগ্রহ পালনের
মাধ্যমে প্রকৃত স্বাধীনতা আসবে না। কারণ সত্যাগ্রহ তখন আর একটি নৈতিক অবস্থান না হয়ে
কৌশল হিসেবে মানুষের কাছে প্রতিপন্ন হয়ে যাবে। ক্রোধোন্মত্ততাকে ক্রোধহীনতা দিয়ে, অসত্যকে
সত্যের শক্তি দিয়ে জয় করেই স্বাধীনতার পথ সুগম হবে, এমনটাই আশা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ
ঠাকুর। তাঁর মনে হয়েছিল, শুধুমাত্র রাষ্ট্রীয় স্তরে ক্ষমতা ভোগকারীর বদল ঘটিয়ে স্বাধীনতা
অর্জিত হতে পারে না। একটি বিদেশি শাসক বদল করে আরেকটি বিদেশি শাসক আসবে। এমনকি এমন
দিন আসবে ক্ষমতায় আসীন যাঁঁরা হবেন তাঁঁরা হয়ত পরিচয়ে ভারতীয়, কিন্তু শাসনটা রয়ে যাবে আই।
এই চিঠি লেখার পরদিনই জালিয়ানওয়ালা বাগের নৃশংস হত্যাকাণ্ড। পাঞ্জাবের ভেতরের সব খবর
বাইরে যাওয়া রদ করেছিল ব্রিটিশ সরকার। ফলে জালিয়ানওয়ালা বাগের নৃশংসতার প্রকৃত চেহারা
প্রথমেই বুঝে উঠতে পারে নি দেশের মানুষ। দিল্লি থেকে পাঞ্জাবের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির
কথা প্রথমে রবীন্দ্রনাথকে জানান এন্ড্রুজ। জানান যে, ক্ষিপ্ত ঔপনিবেশিক সরকার পাঞ্জাবের
জনগনের ওপর এরোপ্লেন থেকে বোমাবর্ষণ করছে। এ খবর যখন রবীন্দ্রনাথের কাছে পৌঁছয় তখন
মে মাসের প্রথম সপ্তাহ।প্রতাপের অন্ধ আক্রোশ যা প্রতিফলিত হয়েছে ব্রিটিশ রাজের ভয়াবহ
হত্যাকাণ্ড সংঘটন ও তৎপরবর্তী অনুশোচনাহীন ঔদ্ধত্যে, অস্থির হয়ে উঠলেন রবীন্দ্রনাথ।
মনে হল, এখনই যথার্থ সময় ঔপনিবেশিক শাসনের ঝুঁটি ধরে নাড়া দেওয়ার। চাইলেন মহাত্মাকে
সঙ্গে নিয়ে পাঞ্জাবে প্রবেশ করতে। যদি ব্রিটিশ রাজ ক্রুদ্ধ হয়ে তাঁদের আটক করে তবে
নিশ্চিতভাবেই আসমুদ্রহিমাচল বিদ্রোহে গর্জে উঠবে । মহাত্মা গান্ধীর তরফ থেকে ইতিবাচক
সাড়া এলো না। কারণ মহাত্মা গান্ধীর মনে হল সত্যাগ্রহের পথ ধরে পরোক্ষ প্রতিরোধের যে
আহ্বান তিনি দিয়েছিলেন সেই পথ থেকে বিচ্যুত হয়েছে ভারতবাসী। অনন্যোপায় কবিগুরু ছুটে
গেলেন দেশবন্ধুর কাছে। চাইলেন একটি মহতী প্রতিবাদ সভা সংগঠিত করে ঔপনিবেশিক শাসকদের
প্রতি আস্থাহীনতার কথা সোচ্চারে ব্যক্ত হোক। সাড়া দিলেন না দেশবন্ধুও। উল্টে কবিগুরুকে
প্রস্তাব দিলেন নিজেই সেই প্রস্তাবিত সভা ডেকে তিনি তাঁঁর একমাত্র বক্তা হোন। নিজের কাছে
ফিরে এলেন রবীন্দ্রনাথ। ব্রিটিশ শাসকের দেওয়া উপাধি তাঁর কাছে শৃঙ্খলের সমতুল মনে হল।
সারা রাত জেগে মুসাবিদা করলেন সেই চিঠির। অন্য ঘরে পাশেই ছিলেন সেদিন প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ। প্রশান্তচন্দ্র জানিয়েছেন, সেদিন সারা রাত অস্থিরভাবে পায়চারি করেছেন কবি।
সকালবেলা সেই চিঠি পড়তে দিলেন প্রশান্তচন্দ্র ও এন্ড্রুজকে। সেই চিঠিতে এক অপরিচিত
ক্রুদ্ধ রবীন্দ্রনাথের দেখা পেয়ে চিঠির ভাষাকে একটু নরম করতে অনুরোধ করেছিলেন এণ্ড্রুজ।
পরবর্তীতে এণ্ড্রুজ জনিয়েছেন এমন নীরব অথচ ক্রুদ্ধ চাহনি তিনি কবিগুরুর চোখে কখনো দেখেন
নি। সেই চিঠিরও কি প্রকৃত সাড়া পেয়েছিলেন কবিগুরু সেদিন? সম্ভবত নয়। মহাত্মার কাছে
সেই চিঠি মনে হয়েছিল ‘অকালপক্ক‘। একটি সংবাদপত্রে চিঠিপত্রে জনৈক দেশবাসী বলেছিলেন,
একটি উপাধিই শুধু হারিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ। এ ছাড়া বাড়তি কোনোকিছুই প্রাপ্তির ঘরে আসে
নি ভারতবাসীর। এই ধারণাটি যে সত্য নয় তা পরবর্তী ইতিহাস দেখেছে। জালিয়ানওয়ালা বাগ হত্যাকাণ্ড
দেশবাসীকে ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মোহমুক্তি ঘটিয়েছে। সারা দেশে এরপর থেকেই স্বাধীনতার
স্পৃহায় আন্দোলনে ভাষা পেলো। জনগনের সার্বিক প্রত্যাখানের মুখে পড়ে ১৯২২ সালের মার্চ
মাসে রাওলাট আইন সহ ২২টি দমনমূলক অঅইন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয় ব্রিটিশ সরকার।
একশো বছর পেরিয়ে গেছে। রাওলাট নামে হয়ত
এখন আর কোনো আইন নেই স্বাধীন দেশে। রাওলাট যেহেতু শুধু আইনের নাম নয়, বরং একটি নির্দিষ্ট
ভাষায় জনসাধারনের সাথে শাসনতন্ত্রের সংলাপ ও সম্পর্কের নামই রাওলাট। যে ভাষা অগণতন্ত্রের,
বিরুদ্ধ মতকে টুঁটি টিপে ধরার, যে ভাষা দাসত্ব ও অধিকারহীনতার। স্বাধীন দেশে এখনও মানুষের
গণতান্ত্রিক অভিমত উপস্থাপনের এবং শাসকের সিদ্ধান্তের প্রতি ভিন্নমত পোষণ করার অধিকার
হরণ করতে অবলীলায় পাশ হয়ে যায় আইন। আজকের শাসকের চোখে অনেক সময়ই বিরুদ্ধমত আর দেশদ্রোহিতা
সমার্থক। আজ থেকে জম্মু ও কাশ্মীর একটি রাজ্য থেকে দু‘টি কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলে পরিণত।
তিন মাস ধরে জীবন স্তব্ধ হয়ে আছে কাশ্মীরে। ১৯১৯ এর এপ্রিলের মতই জম্মু ও কাশ্মীরে
বহাল রয়েছে অলিখিত সেন্সর আইন ও দমন ব্যবস্থা। মনে পড়ে ১৯০৫ সালেই সতর্ক করেছিলেন কবিগুরু।
যান্ত্রিক ভাবে সত্যাগ্রহের পথে হাঁটলে শুধু শাসকেরই বদল হবে। এক বিদেশী শক্তিকে সরিয়ে
আসবে অন্য বিদেশী শক্তি। হয়ত দেশী মানুষের হাত ধরেই পরিচালিত হবে একটি অপরিবর্তিত বিদেশী
দমনমূলক শাসনব্যবস্থা। ২০১৯ সালের ভারত যেন ১৯১৯ সালেরই একটি অবিকল প্রতিচ্ছবি। নেই
শুধু একলা রাতের অন্ধকারে মশাল হাতে এগিয়ে আসা রবীন্দ্রনাথ।
কে জানে হয়ত কোনো এক গোকূলে নিঃশব্দে
হামাগুড়ি দিচ্ছেন আমাদের ভবিষ্যৎ বিদ্রোহের রবি।
* ছবি গুগল থেকে সংগৃহীত
* ছবি গুগল থেকে সংগৃহীত
Sundar
ReplyDeleteBhalo
ReplyDeleteLekha taa arektu baDano jeto
ReplyDeleteরবীন্দ্রনাথের নাইট উপাধি গ্রহণ করা কি আদৌ সমর্থন যোগ্য?
ReplyDeleteগানের গলার মতো শুভদার হাতও দারুণ! শুভদা আরো বেশি করে লেখো।
ReplyDeleteজালিয়ানওয়ালাবাগ নিয়ে যেকোন লেখায় ৯০ শতাংশ জুড়ে থাকেন রবীন্দ্রনাথ। এর যৌক্তিকতা কি শুধুই নাইট উপাধি ত্যাগ? আর গান্ধীজি...?
ReplyDeleteআজকের দিনে জালিয়ানওয়ালাবাগের তাতপ র্য খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হয়েছে... লেখককে অভিনন্দন
ReplyDelete