এবেলায়
ঘুম নেই কারো, বহুকাল হয়ে গেছে
আশায় আশায়
ওরা বসে-কারো কারো ঘর আছে,
কারো কারো
নাই, তবু সংসার আছে;
একটি আলোর
সকাল খুঁজে আনতে
তাদের
পুরুষেরা বেরিয়েছে আরেক সকালে।
কেউ গেছে
লাঙল হাতে, কারো হাতে বই,
কেউ বাঁ
হাতের তর্জনী উঁচিয়ে, ডান হাতে মশাল।
ওরা কেউই
জানে না
কোথায়
গেলে পাওয়া যাবে সেই আলোর সকাল; এমন সকাল যার মাথায় কোনো হত্যার কমলা রং
নেই,
যার কোলে
নিশ্চিন্তে ঘুমায় মানুষ,
তেমন
সকাল, যার নাম 'ইভা'।
যারা
হেঁটে হেঁটে পেরিয়েছে রক্ত নদী, আগুন পাহাড়,
কত বংশ
কাটিয়েছে 'পথিক' তকমায়-
তাদের
চোখেও ঘুম নেই, শ্রান্ত দু'চোখ মেখেছে ভস্মতাপ।
মনে হয় আর
কত? বুকের তাজা রক্ত আঙুলে শুকিয়ে গেছে।
এক্ষুণি
অন্ধকার থেকে ছুটে আসবে বুলেট, কেউ বলবে না 'আমেন'।
কোথাও
তেমন সকাল নেই
যার আলোয়
তমসা আলেয়া পুড়ে যায়,
অণুক্ষণ
ফল্গু যার স্রোতের ধারায় ।
রাত্রি
ওদের বলে দাও:
ওদের
যামিনী মেয়েরা এখনও আশায় আশায় বসে,
যোজন পথের
বাঁকে বিপ্লব জেগে আছে সৌরঝড়ের মতো।
মাতৃসম্ভূতা
মাটিতে
মিশেছে মাধুরী,
গোধূলির
কোমল আভায়
অপরাহ্ন
দূরে শুয়েছে এক ঈশ্বর কন্যা।
না, কন্যা
নয়, কুমারী।
দু' চোখে
অনায়াস ঘুম,
অথচ শরীর
ছুঁয়েছে উত্তাপ, কি নিবিড়!
তার মসৃণ
ঊরুরেখার ফাঁকে সৃষ্টির অসমাপ্ত গাথা-
কি
নিষ্পাপ, কি সুন্দর মাটির নরম ওম।
দু'হাতে
লুকানো স্তনে পৃথিবীর অপূর্ণতা,
তার
নিঃশ্বাসে ঈথারের মতো সময়
নির্লিপ্ত
মমতায় ঢেকেছে মৃত্যুর পিঞ্জর।
কেউ ঘুম
ভাঙিও না
ধরিত্রী দুহিতার-
ঈশ্বরও
জানেন না, আদিজননী দুহিতা কোলে কেমন হাসেন!